Kanyashree Prakalpa 2024 | কন্যাশ্রী প্রকল্পের উদ্দেশ্য,সুবিধা ও আবেদন পদ্ধতি
কন্যাশ্রী প্রকল্প কি? কিভাবে আবেদন করতে হয়? কত টাকা পাওয়া যায়?
কন্যাশ্রী প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্ভাবনী প্রকল্প যা প্রথম চালু হয় সালে। সমাজে আর্থিক কারণে পিছিয়ে পড়া মেয়েদের নিজেদের জীবনের পথে এগিয়ে যেতে এই বিশেষ প্রকল্পটি শুরু করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। 2017 সালের আগে পর্যন্ত এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র স্কুল এবং কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের জন্য নির্ধারিত ছিল। তবে 2017 এর পর থেকে সরকার পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের জন্যও এই স্কীমটি বর্ধিত করেছেন।
কন্যাশ্রী প্রকল্প কী ?
পশ্চিমবঙ্গে নারী শিক্ষার অগ্রগতির জন্য অনেক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি Kanyashree Prakalpa । বর্তমান সময়ে পশ্চিমবঙ্গের গ্রাম্য সমাজে বাল্যবিবাহ একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেয়েরা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই পরিবার থেকে তাদের বিবাহ দেওয়া হচ্ছে। ফলে বাংলার মেয়েরা প্রায়ই বিভিন্ন কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অথবা অপুষ্টিকর বাচ্চার জন্ম দিচ্ছে। এছাড়াও মেয়েরা পর্যাপ্ত শিক্ষা গ্রহণ করতে না পারার ফলে নিজেদের সন্তানদেরও যথাযথ শিক্ষা প্রদান করতে পারছে না। এই সমস্ত সমস্যাগুলির সমাধান খুঁজতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিভিন্ন আমলা থেকে শুরু করে সমস্ত বুদ্ধিজীবী মহলকে। 2013 সালে 4th মার্চ (Kanyashree Prakalpa Starting Date) তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এই Kanyashree Prakalpa নামক একটি নতুন প্রকল্প চালু করে শিশু ও নারী উন্নয়ন এবং সমাজ কল্যাণ দপ্তর ।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের উদ্দেশ্য:
বিশ্বসেরা এই প্রকল্প সূচনার পিছনে অনেক উদ্দেশ্য রয়েছে। সেগুলি হল-
- এই স্কিমের প্রধান উদ্দেশ্যই হলো মেয়েরা যাতে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে তার জন্য আর্থিক ভাবে সহায়তা করা।
- এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মেয়েদের স্কুলে যেতে এবং তাদের শিক্ষা সম্পূর্ন করার উৎসাহ প্রদান করে।
- কমপক্ষে ১৮ বছরের নিচে কোনো মেয়ের যাতে বিয়ে না হয় অর্থাৎ বাল্যবিবাহ রোধ করা এই প্রকল্পের আরো একটি মূল উদ্দেশ্য।
- কন্যাশ্রী প্রকল্পের লক্ষ্য মেয়েদের দক্ষতা বিকাশ এবং প্রশিক্ষণের সুযোগ দিয়ে তাদের ক্ষমতায়ন করা। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং পুষ্টি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির অবস্থার উন্নতি করাও এর লক্ষ্য।
- এই স্কিমটি অবিবাহিত মেয়েদের পরিবারকে অর্থনৈতিক বাধা অতিক্রম করতে এবং তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি করতে সাহায্য করার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
- সামগ্রিকভাবে, কন্যাশ্রী প্রকল্পের লক্ষ্য হল কিশোরী মেয়েদের জীবন উন্নত করা এবং তাদের শিক্ষা, দক্ষতা এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করে তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জনে সহায়তা করা।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা:
পশ্চিমবঙ্গের মহিলা অগ্রগতি এবং সামাজিক উন্নতির জন্য বহু সরকারি প্রকল্প ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কন্যাশ্রী প্রকল্প তারই মধ্যে একটি জনকল্যাণকর প্রকল্প। পশ্চিমবঙ্গের পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের মেয়েদের এবং আর্থিক সহযোগিতা না পাওয়ায় পড়াশুনায় পিছিয়ে থাকা মেয়েদের আর্থিক ভাবে সাহায্য করতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এটি মূলত প্রধান কারণ হলেও, আরও বিশেষ কিছু কারণ বা উদ্দেশ্য রয়েছে এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করার।
- কন্যাশ্রী প্রকল্প মেয়েদের শিক্ষার অগ্রগতিকে সুনিশ্চিত করবে এবং দীর্ঘ সময় ধরে তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করবে।
- 18 বছরের আগে নাবালিকাদের বিয়ে বন্ধ করতে উৎসাহ যোগাবে এবং সকল মেয়েদের শিক্ষামুখী করে তুলবে।
- নাবালিকা মেয়েদের মাধ্যমিক স্তরে পড়াশোনায় উৎসাহী করা, খেলাধুলা এবং অন্যান্য সৃজনশীল কাজে যুক্ত করে বাল্যবিবাহ রোধে গঠনমুলক ব্যবস্থা নেবে।
- দুঃস্থ পরিবার গুলিতে আর্থিক কষ্টের কারণে বহু নাবালিকা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। তাদের মধ্যে যারা অন্য কোনো স্কলারশিপের আওতাভুক্ত নেই, তাদের জন্য এগিয়ে আসবে কন্যাশ্রী প্রকল্প।
- উচ্চশিক্ষায় আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে যেসব পরিবারের মেয়েরা, তাদের পড়াশুনো চালিয়ে যেতে সাহায্য করবে কন্যাশ্রী।
কন্যাশ্রী প্রকল্প এর জন্য কারা আবেদন করতে পারবেন ?
পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা 14 বছরের ঊর্ধ্বে তারা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবো। তবে প্রকল্পের আবেদন করার জন্য শিক্ষার্থীদের সরকার স্বীকৃত একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। 13-18 বছরের সমস্ত অবিবাহিত মেয়েরা যারা সরকার স্বীকৃত অথবা সমমানের বিদ্যালয় এ VIII -XII ক্লাসে পড়াশোনা করছে তারা সকলেই এর জন্য আবেদন করতে পারবে।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের বিভাগগুলি কী কী?
কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলা উন্নয়ন ও সমাকল্যাণ দপ্তর থেকে শিক্ষার্থীদের ৩টি সরকারি স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। যথা –
১। বার্ষিক স্কলারশিপ (K1)-
এই প্রকল্পের মাধ্যমে নূন্যতম ১৩ বছর থেকে ১৭ বছর ১১ মাস বয়সী মেয়েদের প্রতি বছর বৃত্তি প্রদান করা হয়। এই বৃত্তি প্রদানের মূল উদ্দেশ্যই হল , যাতে মেয়েরা তাদের পড়াশোনা চালাতে পারে এবং বৈধ বিয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত স্কুলে পড়াশোনা করতে পারে।
২। এককালীন স্কলারশিপ (K2)-
এই স্কিমের মাধ্যমে নুন্যতম ১৮ বছর থেকে ১৯ বছর বয়সী মেয়েদের এককালীন ২৫,০০০ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। তবে শর্ত এক্ষেত্রে মেয়েদের মহাবিদ্যালয়ে পাঠরত হতে হবে।
৩। কন্যাশ্রী বৃত্তি (K3)-
এই বৃত্তি প্রকল্পের মাধ্যমে কলা ও বিজ্ঞান বিভাগের মেয়েরা মাসিক কিস্তিতে আর্থিক সহায়তা পাবে।
কোন বিভাগে কিভাবে বৃত্তি প্রদান করা হয়?
প্রকল্পের নাম | কত টাকা | কত বার |
---|---|---|
K 1 | Rs. 750/- | বছরে এক বার |
K 2 | Rs. 25,000/- | এককালীন |
K 3 | বাণিজ্য এবং কলা বিভাগের ছাত্রীরা 2,000 টাকা প্রতি মাসে এবং বিজ্ঞানের ছাত্রীরা মাসে 2,000 টাকা | মাসে এক বার |
কন্যাশ্রী প্রকল্পে নিজের নাম নথিভুক্ত করার পদ্ধতি জেনে নিন
কন্যাশ্রী K ১ যোগ্যতা (Kanyashree K 1 Eligibility Criteria) –
(১) আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
(২) এই প্রকল্পের জন্য আবেদনকারীর বয়স 13-17 (18 হওয়ার আগে) বছরের মধ্যে হতে হবে।
(৩) আবেদনকারীকে অবিবাহিত হওয়া বাধ্যতামূলক।
(৪) আবেদনকারীকে কোনও স্কুলের অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী হতে হবে।
(৫) আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় Rs. 1,20,000/- টাকা বা তার কম হতে হবে।
(৬) যদি আবেদনকারী শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী বা বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন হয়, যদি তার অভিভাবক (মা এবং বাবা দুজনেই) মৃত হন, তাহলে পরিবারের আয়ের শর্তের পরিবরতন ঘটবে।
কন্যাশ্রী K ২ যোগ্যতা (Kanyashree K 2 Eligibility Criteria) –
(১) আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
(২) যে সমস্ত মেয়েদের বয়স 18-19-এর মধ্যে (18-য় পা দেওয়ার পরে এবং 19 বছর হওয়ার আগে), তারাই আবেদন করতে পারবে।
(৩) আবেদনকারীকে অবিবাহিত হতে হবে।
(৪) আবেদনকারীকে কোনও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (উচ্চ মাধ্যমিকের পরের স্তর) ছাত্রী হতে হবে।
(৫) আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় 1,20,000/- টাকা বা তার কম হতে হবে।
(৬) বিশেষ ক্ষেত্রে আয়ের শর্তে পরিবরতন ঘটবে।
কন্যাশ্রী K ৩ যোগ্যতা (Kanyashree K 3 Eligibility Criteria) –
(১) আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
(২) কন্যাশ্রী K 2 এর জন্য Register আবেদনকারীরা শুধুমাত্র আবেদন করতে পারবেন; K3 এর জন্য।
(৩) কন্যাশ্রী K 3 এর আবেদনের জন্য বয়সের কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই।
(৪) শিক্ষার্থীকে অবশ্যই 45% নাম্বার সহকারে স্নাতক ডিগ্রী পাশ করতে হবে।
(৫) সরকার কর্তৃক স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন এর জন্য ভর্তি হতে হবে।
কন্যাশ্রী প্রকল্পে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (Documents):
I. ছাত্রীর জন্মের প্রমানপত্র;
II. আধার কার্ড;
III. স্কুল সার্টিফিকেট;
IV. পারিবারিক আয়ের প্রমানপত্র;
V. অভিভাবক কর্তৃক অবিবাহিতা সার্টিফিকেট;
VI. পাসপোর্ট সাইজের ফটো;
VII. যে কোন রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের একটি Savings Bank Account
কন্যাশ্রী প্রকল্প আবেদন পদ্ধতি
এই প্রকল্পের জন্য প্রাথমিকভাবে অফলাইনেই আবেদন করতে হয়।কিভাবে আবেদন করবে তার সঠিক বিবরণ নিচে বলা হলো _
১) এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর নিজের নাম একটি ব্যাঙ্ক একাউন্ট খুলে রাখতে হবে ।
২) কন্যাশ্রী প্রকল্পের আবেদন স্কুল বা কলেজ এ সরাসরি ওখান থেকে ফর্ম তুলে সেখানে নাম, ঠিকানা ,বাবা-মা এর নাম , মোবাইল নম্বর , ব্যাঙ্ক একাউন্ট এর তথ্য এবং স্কুল বা কলেজের বিবরণ দিয়ে ফর্মটি পূর্ণ করতে হবে ।
৩) তারপর সেই ফর্ম টি জমা করতে হবে স্কুল বা কলেজে ।
৪) এছাড়া কন্যাশ্রী প্রকল্প k2 এবং কন্যাশ্রী প্রকল্প k3 এর জন্য wbkanyashree.gov.in ওয়েবসাইট মাধ্যমে আবেদন করা যায় ।
৫) আবেদন পত্র জমা দেয়ার পর একটি আইডি নম্বর মোবাইল নম্বর এ আসবে এটি হলো তোমাদের কন্যাশ্রী প্রকল্পের আইডি । এর দ্বারা এপ্লিকেশন স্টেটাস চেক করতে পারবে ।
২) কন্যাশ্রী প্রকল্পের আবেদন স্কুল বা কলেজ এ সরাসরি ওখান থেকে ফর্ম তুলে সেখানে নাম, ঠিকানা ,বাবা-মা এর নাম , মোবাইল নম্বর , ব্যাঙ্ক একাউন্ট এর তথ্য এবং স্কুল বা কলেজের বিবরণ দিয়ে ফর্মটি পূর্ণ করতে হবে ।
৩) তারপর সেই ফর্ম টি জমা করতে হবে স্কুল বা কলেজে ।
৪) এছাড়া কন্যাশ্রী প্রকল্প k2 এবং কন্যাশ্রী প্রকল্প k3 এর জন্য wbkanyashree.gov.in ওয়েবসাইট মাধ্যমে আবেদন করা যায় ।
৫) আবেদন পত্র জমা দেয়ার পর একটি আইডি নম্বর মোবাইল নম্বর এ আসবে এটি হলো তোমাদের কন্যাশ্রী প্রকল্পের আইডি । এর দ্বারা এপ্লিকেশন স্টেটাস চেক করতে পারবে ।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের আবেদনপত্রের স্ট্যাটাস চেক করার পদ্ধতি:
কন্যাশ্রী প্রকল্পে আপনার বর্তমান অবস্থা জানতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন –
✔ প্রথমে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট wbkanyashree.gov.in টি ওপেন করতে হবে ।
✔ তারপর উপরে Track Application এই অপশনে ক্লিক করতে হবে ।
✔ এবারে একটি নতুন পেজ খুলবে সেখানে প্রথমে Year বেঁচে নিতে হবে (যেমন - 2023-2024)|
✔ তারপর Type of Scheme অর্থাৎ K1 বা K2 বেছে নিতে হবে ।
✔ তারপর Application Id দিতে হবে ।
✔ পরবর্তীতে Date of Birth টি লিখতে হবে ।
✔ তারপর উপরে Track Application এই অপশনে ক্লিক করতে হবে ।
✔ এবারে একটি নতুন পেজ খুলবে সেখানে প্রথমে Year বেঁচে নিতে হবে (যেমন - 2023-2024)|
✔ তারপর Type of Scheme অর্থাৎ K1 বা K2 বেছে নিতে হবে ।
✔ তারপর Application Id দিতে হবে ।
✔ পরবর্তীতে Date of Birth টি লিখতে হবে ।
✅ এবারে একটি ক্যাপচা থাকবে তা সঠিক ভাবে লিখে তারপর Submit অপসন এ ক্লিক করলেই কন্যাশ্রী প্রকল্প এপ্লিকেশন স্টেটাস দেখতে পাওয়া যাবে ।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা কবে ঢুকবে?
কন্যাশ্রী প্রকল্পের সঠিক ভাবে আবেদন হয়ে গেলে। এরপর আপনার আবেদন এর সমস্ত ডাটা কন্যাশ্রী প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়ে থাকে। এখানে বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে, তা সম্পন্ন হলেই কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা আপনি পেয়ে যাবেন। কন্যাশ্রী প্রকল্পের স্থিতি চেক করার জন্য কন্যাশ্রী পোর্টাল এ এসে তা চেক করে নিন। আপনার আবেদন একবার এপ্রুভ হয়ে গেলে সেই টাকা সরাসরি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে আসবে। আবেদন করার ২ মাস পরও যদি কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা না পেয়ে থাকেন,তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
কন্যাশ্রী স্কলারশিপ Renual ও আপগ্রেড করার পদ্ধতি
একবার আপনি কন্যাশ্রী K1 স্কলারশিপের জন্য নথিভুক্ত হলে, আপনার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রতি বছর আপনার আবেদন পুনর্নবীকরণ করবেন, যতক্ষণ না আপনি ১৮ বছর বয়সে পৌঁছান।
পুনর্নবীকরণ প্রক্রিয়ার সময় আপনাকে আপনার অবিবাহিত অবস্থা সম্পর্কে একটি স্ব-ঘোষণা জমা দিতে হতে পারে।
আপনার বয়স ১৮ বছর হয়ে গেলে, আপনাকে আপনার কন্যাশ্রী স্কলারশিপটি K1 থেকে K2 তে আপগ্রেড করতে হতে পারে।
আপনার স্কলারশিপ K2 তে পরিবর্তন করার জন্য আপনাকে একটি আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। একবার হয়ে গেলে আপনি এককালীন পেমেন্ট পাবেন Rs. ২৫০০০ আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
কন্যাশ্রী প্রকল্প হেল্পলাইন নম্বর
কোনোরকম জিজ্ঞাসা থাকলে বা প্রশ্ন থাকলে বা যদি তোমাদের কন্যাশ্রী প্রকল্প সম্পর্কে কিছু তথ্য জানার থাকে বা টাকা না পেয়ে থাকেন তাহলে অবশই কন্যাশ্রী প্রকল্পের অফিসিয়াল হেল্পলাইনে যোগাযোগ করবেন ।
Kanyashree Prakalpa Helpline Number - 033-23373846
e-mail: support.kanyashree@nic.in
WB স্টাডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url