Sunita Williams Biography in Bengali PDF | নক্ষত্র জয়ের গল্প: সুনিতা উইলিয়ামসের জীবনকথা

 মহাকাশে বাঙালির পতাকা: সুনিতা উইলিয়ামসের রেকর্ডভাঙা অভিযানের গল্প


মহাকাশের অনন্ত নীলিমাকে জয় করার স্বপ্ন দেখেছেন অনেকেই, কিন্তু সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন সুনিতা উইলিয়ামস। নাসার এই ভারতীয়-মার্কিন নভোচারী শুধু মহাকাশে দীর্ঘ সময় কাটিয়েই নন, তাঁর বৈজ্ঞানিক অবদান, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নেতৃত্বের গুণাবলির জন্য বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। তাঁর জীবনকাহিনি শুধু একটি ব্যক্তিগত সাফল্যগাথা নয়, এটি সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরণার উৎস।  

 সুনিতা উইলিয়ামস প্রারম্ভিক জীবন: দুই সংস্কৃতির মেলবন্ধন  

সুনিতা উইলিয়ামসের জন্ম ১৯৬৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও রাজ্যে। বাবা ডাঃ দীপক পাণ্ডে গুজরাটি বংশোদ্ভূত স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ, মা বনি পাণ্ডে স্লোভেনিয়ান বংশদ্ভূত গৃহিণী। দুই সংস্কৃতির সৌকর্যে বেড়ে ওঠা সুনিতা শৈশব থেকেই বিজ্ঞান ও অ্যাডভেঞ্চারের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। তাঁর বাবা-মা তাঁকে স্বাধীন চিন্তা এবং লক্ষ্যে অবিচল থাকার শিক্ষা দিয়েছিলেন।  

স্কুলজীবনেই তিনি অ্যাথলেটিক্সে দক্ষতা দেখান: সাঁতার, স্কিইং এবং ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে অংশ নিয়ে পুরস্কার জিতেছেন। ১৯৮৩ সালে নিডহ্যাম হাই স্কুল থেকে পাস করে তিনি ইউনাইটেড স্টেটস নেভাল অ্যাকাডেমি (USNA)-তে ভর্তি হন, যেখানে তিনি পদার্থবিদ্যা নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন (১৯৮৭)। পরে এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স করেন ফ্লোরিডার এমব্রি-রিডল অ্যারোনটিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে (১৯৯৫)।  

সুনিতা উইলিয়ামস নৌবাহিনীতে কর্মজীবন: আকাশপথে প্রথম ডানা  

নৌবাহিনীতে যোগদানের পর সুনিতা হেলিকপ্টার পাইলট হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন। তিনি SH-60B সি হক হেলিকপ্টার চালানোর লাইসেন্স পান এবং অপারেশন ডেজার্ট শিল্ড ও অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম-সহ বিভিন্ন সামরিক অভিযানে অংশ নেন। ১৯৯৩ সালে তিনি লেফটেন্যান্ট কমান্ডার পদে উন্নীত হন এবং "ন্যাভি কমেন্ডেশন মেডেল" ও "ডিফেন্স সুপিরিয়র সার্ভিস মেডেল"-সহ একাধিক সম্মাননা পান। তাঁর নেতৃত্বগুণ ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা তাকে নাসার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।  

সুনিতা উইলিয়ামস  নাসায় যোগদান: মহাকাশযাত্রার প্রস্তুতি  

১৯৯৮ সালে নাসার অ্যাস্ট্রোনট প্রোগ্রামে নির্বাচিত হওয়ার পর সুনিতা দুই বছরব্যাপী কঠোর প্রশিক্ষণ নেন। এ সময় তিনি শাটল অপারেশন, রোবোটিক আর্ম কন্ট্রোল, রাশিয়ান সয়ুজ যানের মেকানিজম এবং জরুরি অবস্থা মোকাবিলার কৌশল রপ্ত করেন। ২০০৬ সালের ৯ ডিসেম্বর, তাঁর প্রথম মহাকাশযাত্রা শুরু হয় STS-116 মিশনে। ডিসকভারি স্পেস শাটলে চেপে তিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) পৌঁছান, যেখানে তিনি ১৯৫ দিন অবস্থান করেন—সেসময় নারীদের মধ্যে এটিই ছিল দীর্ঘতম অভিযান।  

মহাকাশে সুনিতা: বৈজ্ঞানিক মিশন ও রেকর্ড  

1. স্পেসওয়াক রেকর্ড: মহাকাশে সাতবার স্পেসওয়াক করে তিনি নারীদের মধ্যে রেকর্ড গড়েন (মোট ৫০ ঘণ্টা ৪০ মিনিট)। ২০০৭ সালে ISS-এর সোলার প্যানেল মেরামতের সময় তাঁর হেলমেটে বিষাক্ত রাসায়নিক ঢুকলে তিনি ঠান্ডা মাথায় সমস্যা সমাধান করেন।  
2. মিশনের প্রযুক্তিগত বিবরণ:  
   - তাঁর প্রথম মিশনে ISS-এর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা আপগ্রেড করতে নতুন সোলার অ্যারে ইনস্টল করা হয়।  
   - ২০১২ সালের দ্বিতীয় মিশনে (সয়ুজ TMA-05M) তিনি ISS-এর প্রথম নারী কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পান। এই মিশনে তিনি মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে জৈবপ্রযুক্তি পরীক্ষা, পৃথিবীর জলবায়ু পর্যবেক্ষণ এবং স্পেস রেডিয়েশনের প্রভাব নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করেন।  
3. ম্যারাথন দৌড়: ২০০৭ সালে ISS-এর ট্রেডমিলে বসে তিনি বস্টন ম্যারাথনের ভার্চুয়াল রেসে ৪ ঘণ্টা ২৪ মিনিটে ফিনিশ করেন, যা মহাকাশে প্রথম ম্যারাথন হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পায়।  

সুনিতা উইলিয়ামস ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক: শিকড়ের টান  

সুনিতা তাঁর ভারতীয় heritage নিয়ে গর্বিত। তিনি গুজরাটি ভাষায় কথা বলতে পারেন এবং ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি তাঁর ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন একাধিক সাক্ষাৎকারে। ২০০৭ সালে তিনি ISS-এ ভারতের জাতীয় পতাকা, গীতা ও গুজরাটি স্ন্যাক্স সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। ২০১২ সালে আহমেদাবাদে আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে এসে তিনি বলেছিলেন, "আমার বাবার গুজরাটি দাল-রোটি এবং মায়ের স্লোভেনিয়ান পোভিটিকা (পিঠা) আমাকে দুই সংস্কৃতির সেরা দিক শিখিয়েছে।"  

Sunita Williams Biography in Bengali PDF


তিনি ভারতের যুবসমাজকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আগ্রহী করতে নিয়মিত ভার্চুয়াল সেশনে অংশ নেন। ২০২০ সালে আইআইটি-মুম্বাইয়ের এক অনলাইন আলোচনায় তিনি বলেন, "মহাকাশযাত্রা শুধু প্রযুক্তির বিষয় নয়, এটি মানবিক সহযোগিতারও প্রতীক।"  

সুনিতা উইলিয়ামস  ব্যক্তিগত জীবন: সংগ্রাম ও সহযোদ্ধা  

সুনিতা ১৯৮৯ সালে ফেডারেল পুলিশ অফিসার মাইকেল জে. উইলিয়ামসকে বিয়ে করেন। দম্পতির কোনো সন্তান নেই, তবে সুনিতা প্রায়ই বলেন, "আমার মহাকাশযানগুলোই আমার সন্তান।" ব্যক্তিগত জীবনে তিনি যোগব্যায়াম ও ম্যারাথন দৌড়ের প্রতি অনুরাগী। তাঁর পোষা কুকুর "গর্বি"কে তিনি মহাকাশে থাকাকালীন "সার্ফার" নামে ডাকতেন!  

সুনিতা উইলিয়ামস  পুরস্কার ও স্বীকৃতি  

- পদ্মভূষণ (ভারত সরকার, ২০০৮)  
- নাসা স্পেস ফ্লাইট মেডেল (২০০৭, ২০১৩)  
- গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড (দীর্ঘতম মহাকাশ অভিযান, নারী)  
- অনারারি ডক্টরেট (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, ২০১৪)  

সুনিতা উইলিয়ামস বর্তমান প্রকল্প: বোয়িং স্টারলাইনার ও ভবিষ্যৎ  

২০২৪ সালে সুনিতা উইলিয়ামস নাসা ও বোয়িংয়ের যৌথ প্রকল্প স্টারলাইনার মহাকাশযান-এর টেস্ট মিশনে অংশ নেবেন। এই মিশনের লক্ষ্য বাণিজ্যিক মহাকাশযাত্রার নতুন যুগের সূচনা করা। ২০২২ সালের প্রথম টেস্ট ফ্লাইটে টেকনিক্যাল গ্লিচ থাকলেও, সুনিতা দৃঢ়ভাবে বলেছেন, "প্রতিটি ব্যর্থতা নতুন সাফল্যের পথ দেখায়।"  

এছাড়াও, তিনি নাসায় নতুন নভোচারীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন এবং STEM শিক্ষার প্রসারে কাজ করছেন। তাঁর মতে, "মহাকাশযাত্রা শুধু পুরুষদের জন্যই নয়—নারীদের জন্যেও সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে।"  

 অনুপ্রেরণা: সুনিতার দর্শন  

সুনিতা বিশ্বাস করেন যে মহাকাশ গবেষণা মানবজাতির একতা ও শান্তির প্রতীক। তাঁর বিখ্যাত উক্তি, "যখন আপনি পৃথিবীকে মহাকাশ থেকে দেখবেন, রাজনীতি বা সীমানা আর গুরুত্বপূর্ণ থাকবে না—আপনি শুধু দেখবেন একটি নীল মর্মর পাথর, যেখানে আমরা সবাই এক।"  


 উপসংহার: নক্ষত্র ছোঁয়ার স্বপ্ন  

সুনিতা উইলিয়ামস শুধু একজন নভোচারী নন, তিনি একজন বৈশ্বিক নাগরিক যাঁর জীবনাচরণ প্রমাণ করে দেয়—স্বপ্ন, অধ্যবসায় এবং বৈচিত্র্যের মেলবন্ধনেই তৈরি হয় ইতিহাস। তাঁর পথচলা প্রতিটি বাঙালি তরুণ-তরুণীকে বলছে, "নক্ষত্র জয় করা সম্ভব, যদি তুমি বিশ্বাস রাখো নিজের মধ্যে।"  


লেখক: [Naren]  
তথ্যসূত্র: NASA.gov, ISRO, The Times of India, সুনিতা উইলিয়ামসের সাক্ষাৎকার, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।  

মহাকাশের এই যোদ্ধাকে জানতে পড়ুন:  

- তাঁর আত্মজীবনী "নক্ষত্রের হদিসে" (২০২০)  
- নাসার ডকুমেন্টারি "Beyond the Sky: The Sunita Williams Story" (২০২১)




সুনিতা উইলিয়ামস সম্পর্কে প্রশ্নোত্তর  


✈১. সুনিতা উইলিয়ামসের জন্ম কবে এবং কোথায় হয়েছিল?  
উত্তর: সুনিতা উইলিয়ামসের জন্ম ১৯৬৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও রাজ্যের ইউক্লিড শহরে।  



✈ ২. তাঁর পিতামাতার পরিচয় কী?  
উত্তর: তাঁর বাবা ডাঃ দীপক পাণ্ডে গুজরাটি বংশোদ্ভূত স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন, এবং মা বনি পাণ্ডে স্লোভেনিয়ান বংশদ্ভূত গৃহিণী।  



✈ ৩. সুনিতা উইলিয়ামসের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী?  
উত্তর:  
- বিএসসি (পদার্থবিদ্যা): ইউনাইটেড স্টেটস নেভাল অ্যাকাডেমি (১৯৮৭)।  
- মাস্টার্স (এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং): এমব্রি-রিডল অ্যারোনটিক্যাল ইউনিভার্সিটি, ফ্লোরিডা (১৯৯৫)।  



✈৪. নাসায় যোগদানের আগে তিনি কোন পেশায় ছিলেন?  
উত্তর: তিনি মার্কিন নৌবাহিনীতে হেলিকপ্টার পাইলট হিসেবে কাজ করতেন এবং অপারেশন ডেজার্ট শিল্ড ও স্টর্ম-সহ বিভিন্ন সামরিক অভিযানে অংশ নেন।  



✈ ৫. সুনিতা উইলিয়ামসের প্রথম মহাকাশ মিশনের নাম ও সময়কাল কী?  
উত্তর: প্রথম মিশন STS-116 (ডিসেম্বর ৯, ২০০৬), যেখানে তিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) ১৯৫ দিন অবস্থান করেন।  



✈৬. মহাকাশে তাঁর কোন রেকর্ডগুলো উল্লেখযোগ্য?  
উত্তর:  
  • নারীদের মধ্যে দীর্ঘতম স্পেসফ্লাইট (১৯৫ দিন, ২০০৬-২০০৭)।  
  •  সাতবার স্পেসওয়াক করে মোট ৫০ ঘণ্টা ৪০ মিনিট (নারীদের রেকর্ড)।  
  •  ISS-এর ট্রেডমিলে বস্টন ম্যারাথন সম্পন্ন (৪ ঘণ্টা ২৪ মিনিট, ২০০৭)।  



✈৭. সুনিতা উইলিয়ামস ISS-এর কোন ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন?  
উত্তর: ২০১২ সালে তিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের প্রথম নারী কমান্ডার হিসেবে দ্বিতীয় মিশনে (সয়ুজ TMA-05M) দায়িত্ব পালন করেন।  



✈৮. ভারতের সঙ্গে তাঁর সংযোগ কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে?  
উত্তর:  
  • তিনি ISS-এ ভারতের জাতীয় পতাকা, গীতা ও গুজরাটি স্ন্যাক্স নিয়ে গিয়েছিলেন।  
  •  আহমেদাবাদে আত্মীয়দের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন এবং ভারতীয় যুবাদের উদ্দেশ্যে STEM শিক্ষা প্রসারে কাজ করেন।  



✈৯. সুনিতা উইলিয়ামসের প্রিয় শখ ও ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে বলুন।  
উত্তর:  
  • তিনি যোগব্যায়াম ও ম্যারাথন দৌড়ে আগ্রহী।  
  • ১৯৮৯ সালে ফেডারেল পুলিশ অফিসার মাইকেল জে. উইলিয়ামস-কে বিয়ে করেন।  
  • তাঁর পোষা কুকুর গর্বি-কে মহাকাশে "সার্ফার" নামে ডাকতেন।  



✈১০. তাঁর প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য পুরস্কারগুলো কী কী?  
উত্তর:  
  • পদ্মভূষণ (ভারত সরকার, ২০০৮)।  
  • নাসা স্পেস ফ্লাইট মেডেল (২০০৭, ২০১৩)।  
  •  গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড (দীর্ঘতম মহাকাশ অভিযান, নারী)।  



✈ ১১. ২০২৪ সালে তাঁর কোন মিশনটি awaited?  
উত্তর: তিনি বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানের টেস্ট মিশনে অংশ নেবেন, যা বাণিজ্যিক মহাকাশযাত্রার নতুন যুগের সূচনা করতে পারে।  



✈১২. সুনিতা উইলিয়ামসের দর্শন বা বিশ্বাস কী?  
উত্তর: তিনি মনে করেন, "মহাকাশ গবেষণা মানবজাতির একতা ও শান্তির প্রতীক"। তাঁর মতে, পৃথিবীকে মহাকাশ থেকে দেখলে রাজনীতি বা সীমানা গুরুত্বহীন হয়ে যায়।  



✈ ১৩. মহাকাশে বিপজ্জনক কোনো ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি?  
উত্তর: ২০০৭ সালে ISS-এ স্পেসওয়াকের সময় তাঁর হেলমেটে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ঢুকলে তিনি ঠান্ডা মাথায় সমস্যা সমাধান করেন।  



✈১৪. সুনিতা উইলিয়ামস বর্তমানে কী করছেন?  
উত্তর:  
- নাসায় নতুন নভোচারীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।  
- STEM শিক্ষা প্রসার এবং নারীদের জন্য মহাকাশ কর্মসূচিতে উৎসাহিত করছেন।  



✈১৫. তাঁর জীবনী থেকে আমরা কী শিক্ষা পাই?  
উত্তর: সুনিতা উইলিয়ামস প্রমাণ করেছেন যে লিঙ্গ, জাতি বা চ্যালেঞ্জ কখনোই সাফল্যের বাধা নয়। তাঁর জীবনাচরণ শেখায়—"স্বপ্ন দেখো, পরিশ্রম করো, এবং বিশ্বকে বদলে দাও!"  


 সুনিতা উইলিয়ামস সম্পর্কে বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর (MCQ)  


🚀 ১. সুনিতা উইলিয়ামসের জন্ম কোথায় হয়েছিল?  
ক) গুজরাট, ভারত  
খ) ইউক্লিড, ওহাইও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  
গ) ম্যাসাচুসেটস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  
ঘ) স্লোভেনিয়া  
উত্তর: খ) ইউক্লিড, ওহাইও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  



🚀২. তাঁর পিতার বংশোদ্ভূত কোন দেশ?  
ক) স্লোভেনিয়া  
খ) ভারত (গুজরাট)  
গ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  
ঘ) রাশিয়া  
উত্তর: খ) ভারত (গুজরাট)  



🚀 ৩. সুনিতা উইলিয়ামসের প্রথম মহাকাশ মিশনের নাম কী?  
ক) STS-118  
খ) সয়ুজ TMA-05M  
গ) STS-116  
ঘ) বোয়িং স্টারলাইনার  
উত্তর: গ) STS-116  



🚀 ৪. মহাকাশে তাঁর দীর্ঘতম মিশনের সময়কাল কত দিন?  
ক) ১২৭ দিন  
খ) ১৯৫ দিন  
গ) ৩০০ দিন  
ঘ) ৯০ দিন  
উত্তর: খ) ১৯৫ দিন  



🚀 ৫. সুনিতা উইলিয়ামস কোন মিশনে ISS-এর প্রথম নারী কমান্ডার হন?  
ক) STS-116  
খ) সয়ুজ TMA-05M  
গ) অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম  
ঘ) বোয়িং স্টারলাইনার  
উত্তর: খ) সয়ুজ TMA-05M  



🚀 ৬. সুনিতা উইলিয়ামস মহাকাশে  কতবার স্পেসওয়াক করেছেন?  
ক) ৩ বার  
খ) ৫ বার  
গ) ৭ বার  
ঘ) ১০ বার  
উত্তর: গ) ৭ বার  



🚀 ৭. ISS-এ বসে তিনি কোন ম্যারাথন দৌড় সম্পন্ন করেন?  
ক) নিউ ইয়র্ক ম্যারাথন  
খ) বস্টন ম্যারাথন  
গ) লন্ডন ম্যারাথন  
ঘ) টোকিও ম্যারাথন  
উত্তর: খ) বস্টন ম্যারাথন  



🚀৮. ভারত সরকার সুনিতা উইলিয়ামসকে  কোন পুরস্কারে ভূষিত করে?  
ক) পদ্মশ্রী  
খ) পদ্মভূষণ  
গ) ভারত রত্ন  
ঘ) অর্জুন পুরস্কার  
উত্তর: খ) পদ্মভূষণ  



🚀 ৯. সুনিতা উইলিয়ামসের পোষা কুকুরের নাম কী?  
ক) রকেট  
খ) গর্বি  
গ) স্পুটনিক  
ঘ) চন্দ্র  
উত্তর: খ) গর্বি  



🚀 ১০. ২০২৪ সালে তিনি কোন মিশনে অংশ নেবেন?  
ক) চন্দ্রযান-৩  
খ) সয়ুজ TMA-20M  
গ) বোয়িং স্টারলাইনার  
ঘ) আর্টেমিস মিশন  
উত্তর: গ) বোয়িং স্টারলাইনার  



🚀 ১১. তাঁর মতে, মহাকাশ গবেষণা কীসের প্রতীক?  
ক) প্রযুক্তির উন্নতি  
খ) মানবজাতির একতা ও শান্তি  
গ) অর্থনৈতিক শক্তি  
ঘ) সামরিক শক্তি  
উত্তর: খ) মানবজাতির একতা ও শান্তি  



🚀 ১২. নাসায় যোগদানের আগে তিনি কোন পেশায় ছিলেন?  
ক) শিক্ষিকা  
খ) হেলিকপ্টার পাইলট  
গ) প্রকৌশলী  
ঘ) ডাক্তার  
উত্তর: খ) হেলিকপ্টার পাইলট  



🚀 ১৩. ISS-এ তিনি কোন ভারতীয় জিনিস সঙ্গে নিয়েছিলেন?  
ক) গীতা ও গুজরাটি স্ন্যাক্স  
খ) তাজমহলের মডেল  
গ) যোগ ম্যাট  
ঘ) ভারতীয় পতাকা ও মহাভারত  
উত্তর: ক) গীতা ও গুজরাটি স্ন্যাক্স  



🚀 ১৪. তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা কোন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি?  
ক) কম্পিউটার সায়েন্স  
খ) এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং  
গ) পদার্থবিদ্যা  
ঘ) রসায়ন  
উত্তর: খ) এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং  



🚀১৫. "যখন আপনি পৃথিবীকে মহাকাশ থেকে দেখবেন, কী গুরুত্বহীন হবে?" — এই উক্তিটি কার?  
ক) কাল্পনা চাওলা  
খ) রাকেশ শর্মা  
গ) সুনিতা উইলিয়ামস  
ঘ) নীল আর্মস্ট্রং  
উত্তর: গ) সুনিতা উইলিয়ামস  

---  
এই MCQ গুলো সুনিতা উইলিয়ামসের জীবন, কর্ম ও অর্জন সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা যাচাই করতে সাহায্য করবে! 🚀সম্পর্কে আরও জানতে নাসার ওয়েবসাইট বা তাঁর আত্মজীবনী পড়ুন! 🌟



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

WB স্টাডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url