রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কবিতা | Rabindranath Tagore's famous poem

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষের কবিতা

 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন বিখ্যাত কবি, সাহিত্যিক এবং সংগীতশিল্পী ছিলেন। তাঁর কবিতা বিশ্বস্তভাবে পরিচিত এবং প্রখ্যাত হলেও, কিছু বিশেষভাবে জনপ্রিয় কবিতা রয়েছে, সেগুলো হলোঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষের কবিতা


১। চিত্রাঙ্গদা: একটি মনোহর কবিতা, যেখানে প্রকৃতি এবং মানবজীবনের মধ্যে সমন্বয় উল্লেখযোগ্যভাবে বর্ণিত হয়েছে।

২। ঘুম আছে বনে: একটি শিশুকে ঘুম আসতে না দেওয়ার পর তার মা বনে নিয়ে যায় এবং সেখানে প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখিয়ে ঘুমাতে উৎসাহিত করে।

৩। কবি: একটি কবির জীবনশৈলী এবং কবিতা সৃষ্টিকর্তার ভূমিকা বর্ণনা করা হয়েছে।

৪। মহাপ্রভু: একটি ভক্তিমূলক কবিতা যেখানে দেবদেবীর সন্মান করা হয়েছে।

৫। জনপ্রিয় গান: একটি প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত যা অনেকটা কবিতার মত

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশেষ কিছু কবিতার নাম আমি তুলে ধরছি আপনারদের মনে যেমনঃ 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষের কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা আবৃত্তি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কবিতা ইত্যাদি কবিতার নাম গুলি নিচে টেবিল এর আকারে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করা হলো 


কবিতা কাব্যগ্রন্থ
পুরাতন বৎসরের জীর্ণক্লান্ত রাত্রি বলাকা
যৌবন রে, তুই কি রবি সুখের খাঁচাতে বলাকা
ভাবনা নিয়ে মরিস কেন খেপে বলাকা
তোমারে কি বারবার করেছিনু অপমান বলাকা
যে-কথা বলিতে চাই বলাকা
এইক্ষণে বলাকা
যেদিন উদিলে তুমি, বিশ্বকবি, দূর সিন্ধুপারে বলাকা
সর্বদেহের ব্যাকুলতা কী বলতে চায় বাণী বলাকা
দূর হতে কী শুনিস মৃত্যুর গর্জন, ওরে দীন বলাকা
সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা বলাকা
আজ প্রভাতের আকাশটি এই বলাকা
আমার মনের জানলাটি আজ হঠাৎ গেল খুলে বলাকা
জানি আমার পায়ের শব্দ রাত্রে দিনে শুনতে তুমি পাও বলাকা
আজ এই দিনের শেষে বলাকা
নিত্য তোমার পায়ের কাছে বলাকা
এই দেহটির ভেলা নিয়ে দিয়েছি সাঁতার গো বলাকা
যেদিন তুমি আপনি ছিলে একা বলাকা
পাখিরে দিয়েছ গান, গায় সেই গান বলাকা
আমার কাছে রাজা আমার রইল অজানা বলাকা
এবারে ফাল্গুনের দিনে সিন্ধুতীরের কুঞ্জবীথিকায় বলাকা
যে-বসন্ত একদিন করেছিল কত কোলাহল বলাকা
স্বর্গ কোথায় জানিস কি তা ভাই বলাকা
কোন্‌ ক্ষণে বলাকা
যখন আমায় হাতে ধরে বলাকা
ওরে তোদের ত্বর সহে না আর? বলাকা
আনন্দ-গান উঠুক তবে বাজি বলাকা
আমি যে বেসেছি ভালো এই জগতেরে বলাকা
যতক্ষণ স্থির হয়ে থাকি বলাকা
হে ভুবন বলাকা
বিশ্বের বিপুল বস্তুরাশি বলাকা
মোর গান এরা সব শৈবালের দল বলাকা
কত লক্ষ বরষের তপস্যার ফলে বলাকা
পউষের পাতা-ঝরা তপোবনে বলাকা
তুমি দেবে, তুমি মোরে দেবে বলাকা
হে মোর সুন্দর বলাকা
হে প্রিয়, আজি এ প্রাতে বলাকা
কে তোমারে দিল প্রাণ বলাকা
হে বিরাট নদী বলাকা
এ কথা জানিতে তুমি, ভারত-ঈশ্বর শা-জাহান বলাকা
তুমি কি কেবল ছবি শুধু পটে লিখা বলাকা
মত্ত সাগর দিল পাড়ি গহন রাত্রিকালে বলাকা
তোমার শঙ্খ ধুলায় প'ড়ে বলাকা
আমরা চলি সমুখপানে বলাকা
এবার যে ওই এল সর্বনেশে গো বলাকা
ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা বলাকা
উৎসর্গ বলাকা
নিরুদ্দেশ যাত্রা সোনার তরী
কণ্টকের কথা সোনার তরী
অচল স্মৃতি সোনার তরী
আত্মসমর্পণ সোনার তরী
দরিদ্রা সোনার তরী
অক্ষমা সোনার তরী
মুক্তি সোনার তরী
গতি সোনার তরী
বন্ধন সোনার তরী
খেলা সোনার তরী
মায়াবাদ সোনার তরী
বসুন্ধরা সোনার তরী
পুরস্কার সোনার তরী
লজ্জা সোনার তরী
প্রত্যাখ্যান সোনার তরী
ভরা ভাদরে সোনার তরী
ব্যর্থ যৌবন সোনার তরী
হৃদয়যমুনা সোনার তরী
ঝুলন সোনার তরী
দুর্বোধ সোনার তরী
বিশ্বনৃত্য সোনার তরী
দেউল সোনার তরী
নদীপথে সোনার তরী
অনাদৃত সোনার তরী
মানসসুন্দরী সোনার তরী
প্রতীক্ষা সোনার তরী
সমুদ্রের প্রতি সোনার তরী
যেতে নাহি দিব সোনার তরী
আকাশের চাঁদ সোনার তরী
দুই পাখি সোনার তরী
বৈষ্ণব কবিতা সোনার তরী
পরশ-পাথর সোনার তরী
হিং টিং ছট্‌ সোনার তরী
বর্ষাযাপন সোনার তরী
সোনার বাঁধন সোনার তরী
তোমরা ও আমরা সোনার তরী
সুপ্তোত্থিতা সোনার তরী
নিদ্রিতা সোনার তরী
রাজার ছেলে ও রাজার মেয়ে সোনার তরী
শৈশবসন্ধ্যা সোনার তরী
বিম্ববতী সোনার তরী
সোনার তরী সোনার তরী
ওগো আমার এই জীবনের শেষ পরিপূর্ণতা গীতাঞ্জলি
দিবস যদি সাঙ্গ হল, না যদি গাহে পাখি গীতাঞ্জলি
শেষের মধ্যে অশেষ আছে গীতাঞ্জলি
মনে করি এইখানে শেষ গীতাঞ্জলি
গান গাওয়ালে আমায় তুমি গীতাঞ্জলি
প্রেমের দূতকে পাঠাবে নাথ কবে গীতাঞ্জলি
সংসারেতে আর-যাহারা গীতাঞ্জলি
প্রেমের হাতে ধরা দেব গীতাঞ্জলি
তোমার সাথে নিত্য বিরোধ গীতাঞ্জলি
জীবনে যা চিরদিন গীতাঞ্জলি
একটি নমস্কারে, প্রভু গীতাঞ্জলি
জীবনে যত পূজা গীতাঞ্জলি
তোমার দয়া যদি গীতাঞ্জলি
জড়ায়ে আছে বাধা, ছাড়ায়ে যেতে চাই গীতাঞ্জলি
নামটা যেদিন ঘুচাবে, নাথ গীতাঞ্জলি
আমার নামটা দিয়ে ঢেকে রাখি যারে গীতাঞ্জলি
যাবার দিনে এই কথাটি গীতাঞ্জলি
মনকে, আমার কায়াকে গীতাঞ্জলি
ওরে মাঝি, ওরে আমার গীতাঞ্জলি
যা দিয়েছ আমার এ প্রাণ ভরি গীতাঞ্জলি
তোমায় আমার প্রভু করে রাখি গীতাঞ্জলি
আমার চিত্ত তোমায় নিত্য হবে গীতাঞ্জলি
যতকাল তুই শিশুর মতো গীতাঞ্জলি
যখন আমায় বাঁধ আগে পিছে গীতাঞ্জলি
যেন শেষ গানে মোর সব রাগিণী পূরে গীতাঞ্জলি
তোমায় খোঁজা শেষ হবে না মোর গীতাঞ্জলি
গান দিয়ে যে তোমায় খুঁজি গীতাঞ্জলি
দুঃস্বপন কোথা হতে এসে গীতাঞ্জলি
আমার মাঝে তোমার লীলা হবে গীতাঞ্জলি
গাবার মতো হয় নি কোনো গান গীতাঞ্জলি
জড়িয়ে গেছে সরু মোটা গীতাঞ্জলি
রাজার মতো বেশে তুমি সাজাও যে শিশুরে গীতাঞ্জলি
নিন্দা দুঃখে অপমানে গীতাঞ্জলি
আমার এ গান ছেড়েছে তার গীতাঞ্জলি
ভেবেছিনু মনে যা হবার তারি শেষে গীতাঞ্জলি
প্রভুগৃহ হতে আসিলে যেদিন গীতাঞ্জলি
মানের আসন, আরামশয়ন গীতাঞ্জলি
তাই তোমার আনন্দ আমার 'পর গীতাঞ্জলি
সীমার মাঝে, অসীম, তুমি গীতাঞ্জলি
ভজন পূজন সাধন আরাধনা গীতাঞ্জলি
উড়িয়ে ধ্বজা অভ্রভেদী রথে গীতাঞ্জলি
যাত্রী আমি ওরে গীতাঞ্জলি
দয়া করে ইচ্ছা করে আপনি ছোটো হয়ে গীতাঞ্জলি
মরণ যেদিন দিনের শেষে আসবে তোমার দুয়ারে গীতাঞ্জলি
নদীপারের এই আষাঢ়ের গীতাঞ্জলি
কে বলে সব ফেলে যাবি গীতাঞ্জলি
গর্ব করে নিই নে ও নাম, জান অন্তর্যামী গীতাঞ্জলি
আছে আমার হৃদয় আছে ভরে গীতাঞ্জলি
ছাড়িস নে ধরে থাক এঁটে গীতাঞ্জলি
হে মোর দুর্ভাগা দেশ, যাদের করেছ অপমান গীতাঞ্জলি
যেথায় থাকে সবার অধম দীনের হতে দীন গীতাঞ্জলি
হে মোর চিত্ত, পূণ্য তীর্থে গীতাঞ্জলি
আর আমায় আমি নিজের শিরে গীতাঞ্জলি
আমি চেয়ে আছি তোমাদের সবাপানে গীতাঞ্জলি
একলা আমি বাহির হলেম গীতাঞ্জলি
এই মোর সাধ যেন এ জীবনমাঝে গীতাঞ্জলি
হে মোর দেবতা, ভরিয়া এ দেহ প্রাণ গীতাঞ্জলি
আজ বরষার রূপ হেরি মানবের মাঝে গীতাঞ্জলি
আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে গীতাঞ্জলি
মুখ ফিরায়ে রব তোমার পানে গীতাঞ্জলি
ফুলের মতন আপনি ফুটাও গান গীতাঞ্জলি
যেথায় তোমার লুট হতেছে ভুবনে গীতাঞ্জলি
ডাকো ডাকো ডাকো আমারে গীতাঞ্জলি
বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো গীতাঞ্জলি
তুমি যে কাজ করছ, আমায় গীতাঞ্জলি
দেবতা জেনে দূরে রই দাঁড়ায়ে গীতাঞ্জলি
এই করেছ ভালো, নিঠুর গীতাঞ্জলি
আরো আঘাত সইবে আমার গীতাঞ্জলি
আমার এ প্রেম নয় তো ভীরু গীতাঞ্জলি
চাই গো আমি তোমারে চাই গীতাঞ্জলি
ছিন্ন করে লও হে মোরে গীতাঞ্জলি
আমারে যদি জাগালে আজি নাথ গীতাঞ্জলি
একা আমি ফিরব না আর গীতাঞ্জলি
আমার একলা ঘরের আড়াল ভেঙে গীতাঞ্জলি
কথা ছিল এক-তরীতে কেবল তুমি আমি গীতাঞ্জলি
এই জ্যোৎস্নারাতে জাগে আমার প্রাণ গীতাঞ্জলি
তারা তোমার নামে বাটের মাঝে গীতাঞ্জলি
তারা দিনের বেলা এসেছিল গীতাঞ্জলি
ধায় যেন মোর সকল ভালোবাসা গীতাঞ্জলি
তুমি যখন গান গাহিতে বল গীতাঞ্জলি
চিরজনমের বেদনা গীতাঞ্জলি
সভা যখন ভাঙবে তখন গীতাঞ্জলি
দয়া দিয়ে হবে গো মোর গীতাঞ্জলি
বজ্রে তোমার বাজে বাঁশি গীতাঞ্জলি
সবা হতে রাখব তোমায় গীতাঞ্জলি
যতবার আলো জ্বালাতে চাই গীতাঞ্জলি
ওগো মৌন, না যদি কও গীতাঞ্জলি
চিত্ত আমার হারাল আজ গীতাঞ্জলি
ওই যে তরী দিল খুলে গীতাঞ্জলি
আমার খেলা যখন ছিল তোমার সনে গীতাঞ্জলি
সুন্দর, তুমি এসেছিলে আজ প্রাতে গীতাঞ্জলি
তোমার প্রেম যে বইতে পারি গীতাঞ্জলি
কবে আমি বাহির হলেম তোমারি গান গেয়ে গীতাঞ্জলি
একটি একটি করে তোমার গীতাঞ্জলি
মেনেছি, হার মেনেছি গীতাঞ্জলি
তোরা শুনিস নি কি শুনিস নি তার পায়ের ধ্বনি গীতাঞ্জলি
সে যে পাশে এসে বসেছিল গীতাঞ্জলি
বিশ্ব যখন নিদ্রামগন গীতাঞ্জলি
এবার নীরব করে দাও হে তোমার গীতাঞ্জলি
জীবন যখন শুকায়ে যায় গীতাঞ্জলি
তুমি এবার আমায় লহো হে নাথ, লহো গীতাঞ্জলি
তব সিংহাসনের আসন হতে গীতাঞ্জলি
আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে গীতাঞ্জলি
আজি গন্ধবিধুর সমীরণে গীতাঞ্জলি
নামাও নামাও আমায় তোমার গীতাঞ্জলি
কোন্‌ আলোতে প্রাণের প্রদীপ গীতাঞ্জলি
নিভৃত প্রাণের দেবতা গীতাঞ্জলি
হেথায় তিনি কোল পেতেছেন গীতাঞ্জলি
আকাশতলে উঠল ফুটে গীতাঞ্জলি
রূপসাগরে ডুব দিয়েছি গীতাঞ্জলি
আসনতলের মাটির 'পরে লুটিয়ে রব গীতাঞ্জলি
আলোয় আলোকময় ক'রে হে গীতাঞ্জলি

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

WB স্টাডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url